দ্বিতীয় (জুলাই-ডিসেম্বর ১৫) ও তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কাশেম ড্রাইসেলস:

দ্বিতীয় প্রান্তিকে কাশেম ড্রাইসেলসের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৪৬ টাকা, শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের (এনওসিএফপিএস) পরিমাণ হয়েছে ২.৯৯ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ৪৭.৭৬ টাকা। যা আগের বছরে একই ইপিএস ছিল ১.০৮ টাকা, এনওসিএফপিএস ছিল ৪.০৩ টাকা এবং ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত এনএভিপিএস ছিল ৪৯.৯৯ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ০.৩৮ টাকা বা ৩৫.১৯ শতাংশ ।

এদিকে গত তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৫) এ কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ০.৮৩ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ০.৫১ টাকা।

হাক্কানি পাল্প:

হাক্কানি পাল্প এন্ড পেপার মিলস লিমিটেডের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২৪ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের অর্ধবার্ষিকিতে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির এ মুনাফা কমেছে। তবে অর্ধবার্ষিকির শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্ধবার্ষিকির এ ছয় মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে দশমিক ১৬ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল দশমিক ২১ টাকা। এ সময় কোম্পানিটির সম্পত্তির পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১২.০৩ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ এনএভি হয়েছে ২৯.৫২ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১২.৩৭ টাকা এবং ৩০.২৩ টাকা। এছাড়া আলোচিত সময়ে শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে (দশমিক ৫৩) টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩.৫৬ টাকা।

এদিকে, চলতি অর্থবছরের অর্ধবার্ষিকির শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ০.০৭ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.০৫ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির ইপিএস ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

ডেল্টা স্পিনার্স:

ডেল্টা স্পিনার্স লিমিটেডের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৩১ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের অর্ধবার্ষিকিতে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির এ মুনাফা কমেছে।

জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি ইপিএস (কনসলিডেট) হয়েছে ০.২০ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.২৯ টাকা। অর্থাৎ ইপিএস ৩১ শতাংশ কমেছে। এই সময় কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর সমন্বিত (কনসলিডেট) নীট মুনাফা করেছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ কোটি ৩২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির নীট মুনাফা ৬০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা কমেছে। পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৬.০৭ টাকা। যা ৩০ জুন, ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরে ছিল ১৫.৮৯ টাকা। এ সময় শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.০৪ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.০২ টাকা।

এদিকে, অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০.০৭ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.১৫ টাকা। এ সময় কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ৯৮ লাখ ১১ হাজার টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ কোটি ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।

বারাকা পাওয়ার:

দ্বিতীয় প্রান্তিকে বারাকা পাওয়ারের কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ৩৪ কোটি ৫৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৬১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ২১.১৩ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে মুনাফা ছিলো ৩১ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ইপিএস ছিল ১.৪১ টাকা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস ) ছিলো ১৯.৩৯ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ০.২০ টাকা।

স্কয়ার ফার্মা:

তৃতীয় প্রান্তিকে স্কয়ার ফার্মার কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ৫৯১ কোটি ৪৩ লাখ ৮২ হাজার টাকা, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯.৪৮ টাকা, শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১২.৫৯ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ৫৬.৮৬0 টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে মুনাফার পরিমাণ ছিলো ৪২১ কোটি ৮৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৬.৭৭ টাকা, এনওসিএফপিএস ছিল ৭.৭৫ টাকা এবং ৩১ মার্চ ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরে এনএভিপিএস ছিল ৪৯.৮৬ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ২.৭১ টাকা বা ৪০.০৩ শতাংশ।

গত তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৫) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.৩৯ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে আয় ছিল ২.৪৫ টাকা।

পেনিনসুলা:

দ্বিতীয় প্রান্তিকে পেনিনসুলার কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ৮ কোটি ৪৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকা, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৭২ টাকা,শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের (এনওসিএফপিএস) পরিমাণ হয়েছে ০.৬৪ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ৩১.০৪ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে মুনাফা ছিল ৮ কোটি ২৭ লাখ ৯৯ হাজার টাকা, ইপিএস ছিল ০.৭০ টাকা, এনওসিএফপিএস ছিল ০.২১ টাকা (মাইনাস) এবং ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত এনএভিপিএস ছিল ৩২.৮৪ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।

এদিকে গত তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৫) এ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩৪ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ০.৩৫ টাকা।

যমুনা অয়েল:

যমুনা অয়েলের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২১ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের অর্ধবার্ষিকিতে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির এ মুনাফা কমেছে।

জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ৯২ কোটি ৬০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১১৬ কোটি ৯৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির নীট মুনাফা ২৪ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা কমেছে। এই সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮ দশমিক ৩৯ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১০ দশমিক ৫৯ টাকা। পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৩৮ দশমিক ৪৬ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪৯ দশমিক ৯১ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১৩৫ দশমিক ৬১ টাকা এবং ১৩ দশমিক ০৫ টাকা।

এদিকে, অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ৩৪ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৫ কোটি ৮৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির নীট মুনাফা ১১ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা কমেছে। এই সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ দশমিক ০৯ টাকা।

সায়হাম টেক্সটাইল:

সায়হাম টেক্সটাইলের নীট মুনাফায় ব্যাপক ধস নেমেছে। এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানির মুনাফা ৬৩ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের অর্ধবার্ষিকিতে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির এ মুনাফা কমেছে।

জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ৪ কোটি ১৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১১ কোটি ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির নীট মুনাফা ৬ কোটি ৯২ লাখ ৬ হাজার টাকা কমেছে। এই সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে দশমিক ৪৩ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল এক দশমিক ২১ টাকা। পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩২ দশমিক ৫২ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে (৫ দশমিক ৮৭) টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৩৩ দশমিক ৭৪ টাকা এবং ৩ দশমিক ৮৭ টাকা।

ফু-ওয়াং সিরামিকস:

দ্বিতীয় প্রান্তিকে ফু-ওয়াং সিরামিকসের কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ৮ কোটি ২৯ লাখ ৪১ হাজার টাকা, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৮১ টাকা (In cluding capital gain)ও ইপিএস ০.৩৩ টাকা (based on continuing operation),শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের (এনওসিএফপিএস) পরিমাণ হয়েছে ০.৩৬ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ১২.০৪ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে মুনাফা ছিল ১ কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা, ইপিএস ছিল ০.১৭ টাকা ও ০.১৭ টাকা, এনওসিএফপিএস ছিল ০.০৯ টাকা (মাইনাস) এবং এনএভিপিএস ছিল ১৩.৩৯ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ৬ কোটি ৫১ লাখ ৮ হাজার টাকা বা ৩৬৫.০৯ শতাংশ।

বেঙ্গল উইন্ডসোর:

দ্বিতীয় প্রান্তিকে বেঙ্গল উইন্ডসোরের কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ১৫ কোটি ৯৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৭৬ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ৪৩.১৬ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে মুনাফা ছিলো ৩৫ কোটি ১৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ইপিএস ছিল ২.০৫ টাকা এবং ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস ) ছিলো ২৮.৬৫ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ০.২৯ টাকা।

এদিকে গত তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৫) এ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.২৭ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ১.০১ টাকা।

আইসিবি:

দ্বিতীয় প্রান্তিকে আইসিবির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৫২ টাকা, শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের (এনওসিএফপিএস)সমন্বিত পরিমাণ হয়েছে ২০.৮১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ৬১.৭২ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ইপিএস ছিল ২.০২ টাকা, এনওসিএফপিএস ছিল ১৪.৫৩ টাকা এবং ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত এনএভিপিএস ছিল ৬৯.২০ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ০.৫০ টাকা।

এদিকে গত তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৫) এ কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ০.৭৭ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ০.৪৬ টাকা।

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ:

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৩১ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের অর্ধবার্ষিকিতে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির এ মুনাফা বেড়েছে।

জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্ধবার্ষিকির এ ছয় মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১.৩৩ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১.০১ টাকা। এ সময় কোম্পানিটির সম্পত্তির পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১১.৮৩ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ এনএভি হয়েছে ২৮.৫৯ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১১.৩৬ টাকা এবং ২৯.১৫ টাকা। এছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৭০ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল (০.৯১) টাকা।

এদিকে চলতি অর্থবছরের অর্ধবার্ষিকির শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানির ইপিএস হয়েছে দশমিক ৮৬ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল দশমিক ২০ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির ইপিএস ৩৩০ শতাংশ বেড়েছে।

ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স:

দ্বিতীয় প্রান্তিকে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৮১ টাকা, শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের (এনওসিএফপিএস) পরিমাণ হয়েছে ০.৫০ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ১২.৯৮ টাকা। যা আগের বছরে একই ইপিএস ছিল ০.৪৩ টাকা, এনওসিএফপিএস ছিল ০.৩৮ টাকা এবং ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত এনএভিপিএস ছিল ১২.১৭ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ০.৩৮ টাকা বা ৮৮.৩৬ শতাংশ ।

এদিকে গত তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৫) এ কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ০.৪০ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ০.১৩ টাকা।

ডেল্টা স্পিনার্স:

ডেল্টা স্পিনার্স লিমিটেডের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৩১ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের অর্ধবার্ষিকিতে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির এ মুনাফা কমেছে।

জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি ইপিএস (কনসলিডেট) হয়েছে ০.২০ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.২৯ টাকা। অর্থাৎ ইপিএস ৩১ শতাংশ কমেছে। এই সময় কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর সমন্বিত (কনসলিডেট) নীট মুনাফা করেছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ কোটি ৩২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির নীট মুনাফা ৬০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা কমেছে। পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৬.০৭ টাকা। যা ৩০ জুন, ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরে ছিল ১৫.৮৯ টাকা। এ সময় শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.০৪ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.০২ টাকা।

এদিকে, অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০.০৭ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.১৫ টাকা। এ সময় কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ৯৮ লাখ ১১ হাজার টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ কোটি ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।

One thought on “দ্বিতীয় (জুলাই-ডিসেম্বর ১৫) ও তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

  1. মোবাইলে শেয়ার কেনা- বেচায় যদি মাসিক চার্জ দিতে হয় তাহলে বিনিয়োগ কারীদের খরচ আরও বেড়ে যাবে। এমনিতেই আমরা দীর্ঘ মেয়াদে লসে আছি। এখন মোবাইলে শেয়ার বেচাকেনায় লসের পাল্লা আরো বাড়বে বলে মনে করি। তাই আমার প্রস্তাব মোবাইল এপস্ টি ফ্রি করার জন্য নতুবা এর সুফল বিনিয়োগকারীরা পাবেনা, সর্বশেষ দেখা যাবে তেমন কেহ ব্যবহার করছেনা।

    Like

Leave a comment