ওটিসি মার্কেটের কোম্পানিগুলোকে মূল মার্কেটে আনার প্রক্রিয়া চলছে। সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করায় ১২টি কোম্পানিকে ইতোমধ্যে মূল মার্কেটে আনা হয়েছে। বাকি কোম্পানিগুলো মূল মার্কেটে আনার কাজ চলছে।

abul mal

ওটিসি মার্কেটের কোম্পানিগুলোকে মূল মার্কেটে আনার প্রক্রিয়া চলছে। সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করায় ১২টি কোম্পানিকে ইতোমধ্যে মূল মার্কেটে আনা হয়েছে। বাকি কোম্পানিগুলো মূল মার্কেটে আনার কাজ চলছে।

সোমবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের (খুলনা-২) এক প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

অবশেষে ওটিসির দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা। ওভার দ্যা কাউন্টার (ওটিসি) নামের বিকল্প এই বাজারকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, শেয়ারহোল্ডারদের সুবিধার জন্য ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে ৬৬টি কোম্পানিকে মূল মার্কেটে ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে। তবে মূল মার্কেটে আসতে হলে অবশ্যই কোম্পানিগুলোকে আইন পরিপালন করতে হবে।

তিনি বলেন, কোম্পানির আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করলেই মূল মার্কেটে আসতে পারবে কোম্পানিগুলো। আইন পরিপালন করানোর জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

ডিভিডেন্ড ঘোষণা গ্রামীণফোনের

GP-Logo4

বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৬০ শতাংশ ক্যাশ ও ৮০ শতাংশ অন্তবতীকালীনসহ মোট ১৪০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেড।

রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সমাপ্ত অর্থবছরে এ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১৪.৫৯ টাকা, শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ২২.৬৮ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৮.৭৩ টাকা। ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য এ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ১৯/০৪/২০১৬ সকাল ১১ টায়, বসুন্ধারা কনভেনশন সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হবে। আর এ সংক্রান্ত  রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ ফেব্রুয়ারি।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানিটি গত বছর শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ১৬০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিলো ১৪.৬৭ টাকা, শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছিলো ২৩.২৩ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিলো ২৩.১৫ টাকা।

বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ার কেনার ৮৫.২০ টাকা দর নির্ধারিত হয়েছে।

ACME

বুক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ার কেনার ৮৫.২০ টাকা দর নির্ধারিত হয়েছে। এই দরে শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটি ক্রয় করবে। এ দরটি নিলামে প্রস্তাবিত সর্বোচ্চ দর। আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বিডিংয়ের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে কোম্পানিটির আইপিও বিএসইসির অনুমোদনের পর আইপিও প্রক্রিয়া শুরু হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, একমির দুই কোটি শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্ধ থাকলেও এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দরে ৯ কাটি ৭৪ লাখ ৪২ হাজার ৮ শত শেয়ার কেনার জন্য ১৭৮টি প্রতিষ্ঠান মোট ২৫৭ বার আবেদন করে।আবেদন কৃত শেয়ারের মূল্য দাঁড়ায় ৮৩০ কোটি ২১ লাখ ২৬ হাজার ৫৬০ টাকা। কিন্তু একমি ল্যাব এসব বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবে মাত্র দেড়শ কোটি টাকা। সেই হিসেবে এখানে আবেদন পড়েছে ৫৫৩.৩৩ গুন।
শেয়ারটি কেনার জন্য ১৯৩টি প্রতিষ্ঠান নিলামে অংশ নিয়েছে এবং এর মধ্যে ১৭৮টি প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৮৫.২০ টাকা দরে শেয়ার কেনার জন্য মোট ২৫৭ বার আবেদন করে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারী) দুপুর সাড়ে ৩টায় একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের বিক্রির জন্য নিলাম শুরু হয়ে আজ বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুর সাড়ে ৩টায় শেষ হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, নিলামে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান শেয়ারের নির্দেশক মূল্য বা ইনডিকেটিভ প্রাইস থেকে সর্বনিম্ন ২০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত দর বসাতে করতে পারবে। একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের নির্দেশক মূল্য ছিল ৭১ টাকা। এ হিসেবে এর সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য দর দাঁড়ায় ৮৫.২০ টাকা এবং সর্বনিম্ন দর দাড়ায় ৫৬.৮০ টাকা। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দরেই শেয়ারটি কেনার সবচেয়ে বেশি আবেদন ছিল। একমির আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই কোটি শেয়ার সংরক্ষিত আছে।
এ ছাড়া সর্বনিম্ন সীমা ৫৬.৮০ টাকা দরে শেয়ারটি কেনার জন্য কেউ আবেদন করেনি। তবে এর কাছাকাছি দাম ৫৭ টাকা দরে দুই লাখ শেয়ার কেনার জন্য একটি আবেদন পড়েছে।
একইভাবে ৬০ টাকা দরে ৫০ হাজার, ৭১ টাকা দরে ৬ লাখ ২৫ হাজার, ৭৫ টাকা দরে ৫ হাজার ১ শত, ৮০ টাকা দরে ২০ লাখ ৩৫ হাজার, ৮০.৯০ টাকা দরে ২ লাখ ৫০ হাজার, ৮২ টাকা দরে ১০ লাখ ১ হাজার, ৮৩ টাকা দরে ১ হাজার ৯০০, ৮৪ টাকা দরে ১ হাজার, ৮৫ টাকা দরে ২ হাজার এবং সর্বোচ্চ ৮৫.২০ টাকা দরে ৯ কোটি ৭৪ লাখ ৪২ হাজার ৮ শত শেয়ার ক্রয়ের আবেদন পরেছে।
উল্লেখ্য, যে দরে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে শেয়ার বিক্রি শেষ হবে সেই দর থেকে ১০ শতাংশ কমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব করবে কোম্পানিটি। সে হিসেবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৭৬.৬৮ টাকা দরে আইপিওতে আবেদন করতে পারবেন।

স্বল্প মূলধনীর জন্য তৈরি হচ্ছে আলাদা মার্কেট

DSE-BSEC

স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য আলাদা মার্কেট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে সল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর লিস্টিং এবং ট্রেডিংয়ের জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম গঠন করা হবে। তবে এই মার্কেটে লেনদেন করতে পারবে শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং উচ্চ নীটসম্পদধারী ব্যক্তি যাদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত সম্যক ধারণা রয়েছে। এক্ষেত্রে এ মার্কেটে লেনদেন করা থেকে বঞ্চিত হবেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসি ভবনে অনুষ্ঠিত ৫৬৫তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তীতে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারে স্মল ক্যাপ বোর্ড প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত কমিটির দাখিলকৃত রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি ১৩টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিসমূহের লিস্টিং এবং ট্রেডিংয়ের জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ‘স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম’ নামে ভিন্ন প্লাটফরম গঠন করা।

এ বাজারে তালিকাভুক্তির জন্য কোম্পানির ইস্যুপূর্ববর্তী ন্যুনতম ৫ কোটি টাকা এবং ইস্যু পরবর্তী নুন্যতম ১০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। ইস্যু পরবর্তী সর্বোচ্চ মূলধন হবে ৩০ কোটি টাকার নিম্নে।

শুধুমাত্র কোয়ালিফাইড ইনভেস্টটর অফারের (কিউআইও)  মাধ্যমে পুঁজি উত্তোলনপূর্বক স্মল ক্যাপিটাল বেইসড কোম্পানিসমূহ এই বাজারে তালিকাভুক্ত হবে পারবে। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টটরস বলতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং উচ্চ নীটসম্পদধারী ব্যক্তি যাদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত সম্যক ধারণা রয়েছে তাদের বোঝাবে।

এই বাজারে ডিরেক্ট লিষ্টিংয়ের মাধ্যমে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে পারবে না। বিদ্যমান শেয়ারধারকদের শেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লকইন থাকবে। এই বাজারে শুধুমাত্র কোয়ালিফাইড ইনভেস্টটররা লেনদেন করতে পারবেন। এই বাজার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত নয়।

বাজারে লেনদেন এর তারল্য বজায় রাখার জন্য ইস্যুয়ার কোম্পানি ন্যুনতম ৩ বছরের জন্য মার্কেট মেকার নিয়োগ করবে। সিকিউরিটিজ সমূহ ডিমেটেরিয়ালাইজড ফর্ম হবে এবং ইলেকট্রনিক ট্রেডিং প্লাটফর্মে লেনদেন হবে। ক্লিয়ারি,সেটেলমেন্ট এবং ট্রেড সাইকেল হবে এক্সচেঞ্জের মূল বাজারের অনুরূপ।

স্মল ক্যাপিটাল বেইসড কোম্পানির লিষ্টিয়ের ন্যুনতম ফি এবং অন্যান্য খরচ ধার্য করা হবে। তালিকাভুক্তি এবং কমপ্লায়েন্স এর বাধবাধকতাসমূহ বর্তমানে প্রচলিত আইপিওর এর চেয়ে হ্রাস করা হবে এবং ইলেকট্রনিক কমপ্লায়েন্স ও ডিসক্লোজার প্রণয়নের ব্যবস্থা করা হবে।

বিদ্যমান স্টক ব্রোকারদের মাধ্যমে লেনদেন পরিচালিত হবে। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টটরস চিহ্নিতকরণের জন্য সিডিবিএলে ভিন্ন ধরণের বিও হিসাব প্রণয়ন করবে। এক্সচেঞ্জসমূহ কোম্পানি এবং বিনিয়োগকারীদের সচেতনতামূলক কর্মসূচী গ্রহণ করবে।

বিএসইসির গৃহীত এই সিদ্ধান্তগুলোর আলোকে কমিটি বিধিমালা প্রণয়ন করে জনমত যাচাইয়ের জন্য প্রকাশের ব্যবস্থা করবে। এছাড়াও মার্কেট মেকার বিধিমালা সংশোধনের জন্য গঠিত কমিটিও কার্যক্রম সম্পন্ন করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

একমির মুনাফা কম, সম্পদ ও ইকুইটি বেশি

ACME
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় থাকা একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের সম্পদ ও ইকুইটির বিপরীতে মুনাফা তুলনামূলক কম। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্মাসিউটিক্যালস খাতের অন্যান্য কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এমন তথ্য মিলেছে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটির শেয়ার পেতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ইলিজিবল ইন্সটিউশনাল ইনভেস্টটরদের রেজিস্ট্রেশন ২৪ জানুয়ারি শুরু হয়ে রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
এরপরে বুক বিল্ডিং (নিলাম) রোববার শুরু হবে আগামি ১ ফেব্রুয়ারি, সোমবার। এদিন বেলা সাড়ে ৩টায় নিলাম শুরু হয়ে চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত।

গত বছর একমি ল্যাবরেটরিজের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের নির্দেশক মূল্য ৭১ টাকায় অনুমোদন দেয় শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিলাম শেষে এ কোম্পানির শেয়ারের কাটঅফ প্রাইস নির্ধারিত হবে, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য যা হবে ইস্যুমূল্য।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ও একমি ল্যাবরেটরিজের খসড়া প্রসপেক্টাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে একমির টার্নওভার ছিল ১ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। এ সময়ে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৯২ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

সে হিসাব বছরে কোম্পানির সম্পদের বিপরীতে মুনাফার (রিটার্ন অন অ্যাসেট) হার ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। একই সময়ে স্কয়ার ফার্মার সম্পদের বিপরীতে মুনাফা ১৭ শতাংশ ছিল। এছাড়া রেনাটা ১১ দশমিক ৮ শতাংশ, ইবনে সিনা ফার্মা ১০ দশমিক ৬, অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস ১১ দশমিক ৪ ও বেক্সিমকো ফার্মার সম্পদের বিপরীতে মুনাফা ছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

জানা গেছে, একমি ল্যাবরেটরিজের ‘সলিড ডোজেস ইউনিট’ ৫০ শতাংশ কর অবকাশ সুবিধা পায়। কোম্পানির মোট মুনাফার প্রায় ২০ শতাংশ আসে এ ইউনিট থেকে। তবে ২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের পর কর অবকাশের এ সুবিধা থাকবে না, যা পরবর্তী সময়ে মুনাফা প্রবৃদ্ধিতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

খাতসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণেই  সম্পদের বিপরীতে একমির মুনাফা তুলনামূলক কম।

দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে একমি ল্যাবরেটরিজের অবস্থান নয় নম্বরে। ওষুধ বাজারের মোট ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ কোম্পানিটির দখলে। দেশীয় ওষুধের বাজারে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। ২০১৪-১৫ হিসাব বছরে স্কয়ার ফার্মার বার্ষিক টার্নওভার ছিল ৩ হাজার ২৮ কোটি টাকা। একই সময়ে ইকুইটির বিপরীতে এর মুনাফা (রিটার্ন অন ইকুইটি) ছিল ১৯ দশমিক ২ শতাংশ।

তবে ইকুইটির বিপরীতে সবচেয়ে বেশি মুনাফা করে রেনাটা। প্রতিষ্ঠানটি গত বছর ২২ শতাংশের বেশি মুনাফা করে। এছাড়া ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের রিটার্ন অন ইকুইটি ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। অথচ একই সময়ে একমির রিটার্ন অন ইকুইটি ছিল মাত্র ৮ দশমিক ১ শতাংশ। অবশ্য এ হিসাবে বেক্সিমকো ফার্মার চেয়ে একমি কিছুটা উপরে রয়েছে।

২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত একমির ইকুইটি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিশোধিত মূলধন ১৬১ কোটি ৬০ লাখ ১৭ হাজার, শেয়ার প্রিমিয়াম ১৬০ কোটি ৫০ লাখ, রিটেইন্ড আর্নিংস ২৬৮ কোটি ৯৭ লাখ, সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন বাবদ ৫৩২ কোটি ও অন্যান্য রিজার্ভ ১৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর বিপরীতে কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি ঋণ রয়েছে ৪৯০ কোটি টাকা।

২০১৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের হিসাব অনুসারে, কোম্পানির ১ হাজার ৫৫১ কোটি টাকার স্থায়ী সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে জমি ও জমি উন্নয়ন বাবদ সম্পদের পরিমাণ ৪০২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এছাড়া ভবন ৩৯২ কোটি ও মেশিনারিজের মূল্য হচ্ছে ১৯৭ কোটি টাকা। এর বাইরে ২৭১ কোটি টাকার নির্মাণকাজ চলছে এবং ১৪৪ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি আসার পথে রয়েছে।

এ সময় সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন বাবদ ৫৪২ কোটি ৯৮ লাখ টাকার অর্থ রিজার্ভে যোগ হয়েছে। এছাড়া রিটেইন্ড আর্নিংস রয়েছে ১৯৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। একমির পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ১৬১ কোটি ৬০ লাখ ১৭ হাজার টাকা।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের নিট মুনাফা পাঁচ বছরে প্রায় চার গুণ বেড়েছে। যদিও এ সময়ে কোম্পানির টার্নওভার প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০৯-১০ সালে টার্নওভার ছিল ৫৫৫ কোটি টাকা, যা ২০১৪-১৫ সালে এসে দাঁড়ায় ১ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা।

উল্লিখিত সময়ে কোম্পানির কর-পরবর্তী মুনাফা ২২ কোটি ৭৮ লাখ থেকে বেড়ে ৯২ কোটি ১৯ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। যদিও ২০১০ সালে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ছিল ১০ কোটি টাকা। পরবর্তী পাঁচ বছরে তা ১৬১ কোটি ৬০ লাখ ১৭ হাজার টাকায় উন্নীত হয়। শেয়ারপ্রতি আয় ১ টাকা ৯৬ পয়সা থেকে বেড়ে ২০১৪ সালে ৫ টাকা ৬৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের শেয়ার পেতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিডিং (নিলাম) শুরু হচ্ছে আজ। বুক বিল্ডিং পদ্ধতির নিয়মানুযায়ী, বিডিংয়ে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নির্দেশক মূল্যের ২০ শতাংশ উপরে বা নিচে শেয়ারদর প্রস্তাব করতে পারে।

এক্ষেত্রে বিডিং প্রক্রিয়ায় এ শেয়ারের সর্বনিম্ন দর ৫৬ টাকা ৮০ ও সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা ১০ পয়সায় মধ্যে যেকোনো প্রস্তাব দিতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪০ শতাংশ বা দুই কোটি শেয়ার সংরক্ষিত রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য।

গত ৭ ডিসেম্বর বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বিডিংয়ের অনুমোদন পায় একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। ২০১৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৫ টাকা ৬৫ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ৬৬ টাকা ১৬ পয়সা।

দ্বিতীয় (জুলাই-ডিসেম্বর ১৫) ও তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কাশেম ড্রাইসেলস:

দ্বিতীয় প্রান্তিকে কাশেম ড্রাইসেলসের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৪৬ টাকা, শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের (এনওসিএফপিএস) পরিমাণ হয়েছে ২.৯৯ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ৪৭.৭৬ টাকা। যা আগের বছরে একই ইপিএস ছিল ১.০৮ টাকা, এনওসিএফপিএস ছিল ৪.০৩ টাকা এবং ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত এনএভিপিএস ছিল ৪৯.৯৯ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ০.৩৮ টাকা বা ৩৫.১৯ শতাংশ ।

এদিকে গত তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৫) এ কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ০.৮৩ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ০.৫১ টাকা।

হাক্কানি পাল্প:

হাক্কানি পাল্প এন্ড পেপার মিলস লিমিটেডের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২৪ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের অর্ধবার্ষিকিতে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির এ মুনাফা কমেছে। তবে অর্ধবার্ষিকির শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্ধবার্ষিকির এ ছয় মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে দশমিক ১৬ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল দশমিক ২১ টাকা। এ সময় কোম্পানিটির সম্পত্তির পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১২.০৩ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ এনএভি হয়েছে ২৯.৫২ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১২.৩৭ টাকা এবং ৩০.২৩ টাকা। এছাড়া আলোচিত সময়ে শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে (দশমিক ৫৩) টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩.৫৬ টাকা।

এদিকে, চলতি অর্থবছরের অর্ধবার্ষিকির শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ০.০৭ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.০৫ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির ইপিএস ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

ডেল্টা স্পিনার্স:

ডেল্টা স্পিনার্স লিমিটেডের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৩১ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের অর্ধবার্ষিকিতে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির এ মুনাফা কমেছে।

জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি ইপিএস (কনসলিডেট) হয়েছে ০.২০ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.২৯ টাকা। অর্থাৎ ইপিএস ৩১ শতাংশ কমেছে। এই সময় কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর সমন্বিত (কনসলিডেট) নীট মুনাফা করেছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ কোটি ৩২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির নীট মুনাফা ৬০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা কমেছে। পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৬.০৭ টাকা। যা ৩০ জুন, ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরে ছিল ১৫.৮৯ টাকা। এ সময় শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.০৪ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.০২ টাকা।

এদিকে, অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০.০৭ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.১৫ টাকা। এ সময় কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ৯৮ লাখ ১১ হাজার টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ কোটি ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।

বারাকা পাওয়ার:

দ্বিতীয় প্রান্তিকে বারাকা পাওয়ারের কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ৩৪ কোটি ৫৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৬১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ২১.১৩ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে মুনাফা ছিলো ৩১ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ইপিএস ছিল ১.৪১ টাকা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস ) ছিলো ১৯.৩৯ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ০.২০ টাকা।

স্কয়ার ফার্মা:

তৃতীয় প্রান্তিকে স্কয়ার ফার্মার কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ৫৯১ কোটি ৪৩ লাখ ৮২ হাজার টাকা, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯.৪৮ টাকা, শেয়ার প্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১২.৫৯ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ৫৬.৮৬0 টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে মুনাফার পরিমাণ ছিলো ৪২১ কোটি ৮৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৬.৭৭ টাকা, এনওসিএফপিএস ছিল ৭.৭৫ টাকা এবং ৩১ মার্চ ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরে এনএভিপিএস ছিল ৪৯.৮৬ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ২.৭১ টাকা বা ৪০.০৩ শতাংশ।

গত তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৫) এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.৩৯ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে আয় ছিল ২.৪৫ টাকা।

পেনিনসুলা:

দ্বিতীয় প্রান্তিকে পেনিনসুলার কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ৮ কোটি ৪৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকা, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৭২ টাকা,শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের (এনওসিএফপিএস) পরিমাণ হয়েছে ০.৬৪ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ৩১.০৪ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে মুনাফা ছিল ৮ কোটি ২৭ লাখ ৯৯ হাজার টাকা, ইপিএস ছিল ০.৭০ টাকা, এনওসিএফপিএস ছিল ০.২১ টাকা (মাইনাস) এবং ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত এনএভিপিএস ছিল ৩২.৮৪ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।

এদিকে গত তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৫) এ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩৪ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ০.৩৫ টাকা।

যমুনা অয়েল:

যমুনা অয়েলের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২১ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের অর্ধবার্ষিকিতে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির এ মুনাফা কমেছে।

জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ৯২ কোটি ৬০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১১৬ কোটি ৯৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির নীট মুনাফা ২৪ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা কমেছে। এই সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮ দশমিক ৩৯ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১০ দশমিক ৫৯ টাকা। পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৩৮ দশমিক ৪৬ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪৯ দশমিক ৯১ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১৩৫ দশমিক ৬১ টাকা এবং ১৩ দশমিক ০৫ টাকা।

এদিকে, অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ৩৪ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৫ কোটি ৮৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির নীট মুনাফা ১১ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা কমেছে। এই সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ দশমিক ০৯ টাকা।

সায়হাম টেক্সটাইল:

সায়হাম টেক্সটাইলের নীট মুনাফায় ব্যাপক ধস নেমেছে। এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানির মুনাফা ৬৩ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের অর্ধবার্ষিকিতে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির এ মুনাফা কমেছে।

জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ৪ কোটি ১৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১১ কোটি ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির নীট মুনাফা ৬ কোটি ৯২ লাখ ৬ হাজার টাকা কমেছে। এই সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে দশমিক ৪৩ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল এক দশমিক ২১ টাকা। পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩২ দশমিক ৫২ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে (৫ দশমিক ৮৭) টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৩৩ দশমিক ৭৪ টাকা এবং ৩ দশমিক ৮৭ টাকা।

ফু-ওয়াং সিরামিকস:

দ্বিতীয় প্রান্তিকে ফু-ওয়াং সিরামিকসের কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ৮ কোটি ২৯ লাখ ৪১ হাজার টাকা, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৮১ টাকা (In cluding capital gain)ও ইপিএস ০.৩৩ টাকা (based on continuing operation),শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের (এনওসিএফপিএস) পরিমাণ হয়েছে ০.৩৬ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ১২.০৪ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে মুনাফা ছিল ১ কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা, ইপিএস ছিল ০.১৭ টাকা ও ০.১৭ টাকা, এনওসিএফপিএস ছিল ০.০৯ টাকা (মাইনাস) এবং এনএভিপিএস ছিল ১৩.৩৯ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ৬ কোটি ৫১ লাখ ৮ হাজার টাকা বা ৩৬৫.০৯ শতাংশ।

বেঙ্গল উইন্ডসোর:

দ্বিতীয় প্রান্তিকে বেঙ্গল উইন্ডসোরের কর পরিশোধের পর মুনাফা হয়েছে ১৫ কোটি ৯৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৭৬ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ৪৩.১৬ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে মুনাফা ছিলো ৩৫ কোটি ১৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ইপিএস ছিল ২.০৫ টাকা এবং ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস ) ছিলো ২৮.৬৫ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ০.২৯ টাকা।

এদিকে গত তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৫) এ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.২৭ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ১.০১ টাকা।

আইসিবি:

দ্বিতীয় প্রান্তিকে আইসিবির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৫২ টাকা, শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের (এনওসিএফপিএস)সমন্বিত পরিমাণ হয়েছে ২০.৮১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ৬১.৭২ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ইপিএস ছিল ২.০২ টাকা, এনওসিএফপিএস ছিল ১৪.৫৩ টাকা এবং ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত এনএভিপিএস ছিল ৬৯.২০ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ০.৫০ টাকা।

এদিকে গত তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৫) এ কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ০.৭৭ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ০.৪৬ টাকা।

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ:

অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৩১ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের অর্ধবার্ষিকিতে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির এ মুনাফা বেড়েছে।

জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্ধবার্ষিকির এ ছয় মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১.৩৩ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১.০১ টাকা। এ সময় কোম্পানিটির সম্পত্তির পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১১.৮৩ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ এনএভি হয়েছে ২৮.৫৯ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১১.৩৬ টাকা এবং ২৯.১৫ টাকা। এছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৭০ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল (০.৯১) টাকা।

এদিকে চলতি অর্থবছরের অর্ধবার্ষিকির শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানির ইপিএস হয়েছে দশমিক ৮৬ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল দশমিক ২০ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির ইপিএস ৩৩০ শতাংশ বেড়েছে।

ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স:

দ্বিতীয় প্রান্তিকে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৮১ টাকা, শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের (এনওসিএফপিএস) পরিমাণ হয়েছে ০.৫০ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ১২.৯৮ টাকা। যা আগের বছরে একই ইপিএস ছিল ০.৪৩ টাকা, এনওসিএফপিএস ছিল ০.৩৮ টাকা এবং ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত এনএভিপিএস ছিল ১২.১৭ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ০.৩৮ টাকা বা ৮৮.৩৬ শতাংশ ।

এদিকে গত তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৫) এ কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ০.৪০ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ০.১৩ টাকা।

ডেল্টা স্পিনার্স:

ডেল্টা স্পিনার্স লিমিটেডের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৩১ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের অর্ধবার্ষিকিতে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির এ মুনাফা কমেছে।

জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি ইপিএস (কনসলিডেট) হয়েছে ০.২০ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.২৯ টাকা। অর্থাৎ ইপিএস ৩১ শতাংশ কমেছে। এই সময় কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর সমন্বিত (কনসলিডেট) নীট মুনাফা করেছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ কোটি ৩২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির নীট মুনাফা ৬০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা কমেছে। পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৬.০৭ টাকা। যা ৩০ জুন, ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরে ছিল ১৫.৮৯ টাকা। এ সময় শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.০৪ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.০২ টাকা।

এদিকে, অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০.০৭ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.১৫ টাকা। এ সময় কোম্পানিটি কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ৯৮ লাখ ১১ হাজার টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ কোটি ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।