একমির মুনাফা কম, সম্পদ ও ইকুইটি বেশি

ACME
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় থাকা একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের সম্পদ ও ইকুইটির বিপরীতে মুনাফা তুলনামূলক কম। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্মাসিউটিক্যালস খাতের অন্যান্য কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এমন তথ্য মিলেছে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটির শেয়ার পেতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ইলিজিবল ইন্সটিউশনাল ইনভেস্টটরদের রেজিস্ট্রেশন ২৪ জানুয়ারি শুরু হয়ে রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
এরপরে বুক বিল্ডিং (নিলাম) রোববার শুরু হবে আগামি ১ ফেব্রুয়ারি, সোমবার। এদিন বেলা সাড়ে ৩টায় নিলাম শুরু হয়ে চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত।

গত বছর একমি ল্যাবরেটরিজের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের নির্দেশক মূল্য ৭১ টাকায় অনুমোদন দেয় শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিলাম শেষে এ কোম্পানির শেয়ারের কাটঅফ প্রাইস নির্ধারিত হবে, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য যা হবে ইস্যুমূল্য।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ও একমি ল্যাবরেটরিজের খসড়া প্রসপেক্টাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে একমির টার্নওভার ছিল ১ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। এ সময়ে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৯২ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

সে হিসাব বছরে কোম্পানির সম্পদের বিপরীতে মুনাফার (রিটার্ন অন অ্যাসেট) হার ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। একই সময়ে স্কয়ার ফার্মার সম্পদের বিপরীতে মুনাফা ১৭ শতাংশ ছিল। এছাড়া রেনাটা ১১ দশমিক ৮ শতাংশ, ইবনে সিনা ফার্মা ১০ দশমিক ৬, অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস ১১ দশমিক ৪ ও বেক্সিমকো ফার্মার সম্পদের বিপরীতে মুনাফা ছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

জানা গেছে, একমি ল্যাবরেটরিজের ‘সলিড ডোজেস ইউনিট’ ৫০ শতাংশ কর অবকাশ সুবিধা পায়। কোম্পানির মোট মুনাফার প্রায় ২০ শতাংশ আসে এ ইউনিট থেকে। তবে ২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের পর কর অবকাশের এ সুবিধা থাকবে না, যা পরবর্তী সময়ে মুনাফা প্রবৃদ্ধিতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

খাতসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণেই  সম্পদের বিপরীতে একমির মুনাফা তুলনামূলক কম।

দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে একমি ল্যাবরেটরিজের অবস্থান নয় নম্বরে। ওষুধ বাজারের মোট ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ কোম্পানিটির দখলে। দেশীয় ওষুধের বাজারে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। ২০১৪-১৫ হিসাব বছরে স্কয়ার ফার্মার বার্ষিক টার্নওভার ছিল ৩ হাজার ২৮ কোটি টাকা। একই সময়ে ইকুইটির বিপরীতে এর মুনাফা (রিটার্ন অন ইকুইটি) ছিল ১৯ দশমিক ২ শতাংশ।

তবে ইকুইটির বিপরীতে সবচেয়ে বেশি মুনাফা করে রেনাটা। প্রতিষ্ঠানটি গত বছর ২২ শতাংশের বেশি মুনাফা করে। এছাড়া ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের রিটার্ন অন ইকুইটি ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। অথচ একই সময়ে একমির রিটার্ন অন ইকুইটি ছিল মাত্র ৮ দশমিক ১ শতাংশ। অবশ্য এ হিসাবে বেক্সিমকো ফার্মার চেয়ে একমি কিছুটা উপরে রয়েছে।

২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত একমির ইকুইটি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিশোধিত মূলধন ১৬১ কোটি ৬০ লাখ ১৭ হাজার, শেয়ার প্রিমিয়াম ১৬০ কোটি ৫০ লাখ, রিটেইন্ড আর্নিংস ২৬৮ কোটি ৯৭ লাখ, সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন বাবদ ৫৩২ কোটি ও অন্যান্য রিজার্ভ ১৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর বিপরীতে কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি ঋণ রয়েছে ৪৯০ কোটি টাকা।

২০১৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের হিসাব অনুসারে, কোম্পানির ১ হাজার ৫৫১ কোটি টাকার স্থায়ী সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে জমি ও জমি উন্নয়ন বাবদ সম্পদের পরিমাণ ৪০২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এছাড়া ভবন ৩৯২ কোটি ও মেশিনারিজের মূল্য হচ্ছে ১৯৭ কোটি টাকা। এর বাইরে ২৭১ কোটি টাকার নির্মাণকাজ চলছে এবং ১৪৪ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি আসার পথে রয়েছে।

এ সময় সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন বাবদ ৫৪২ কোটি ৯৮ লাখ টাকার অর্থ রিজার্ভে যোগ হয়েছে। এছাড়া রিটেইন্ড আর্নিংস রয়েছে ১৯৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। একমির পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ১৬১ কোটি ৬০ লাখ ১৭ হাজার টাকা।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের নিট মুনাফা পাঁচ বছরে প্রায় চার গুণ বেড়েছে। যদিও এ সময়ে কোম্পানির টার্নওভার প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০৯-১০ সালে টার্নওভার ছিল ৫৫৫ কোটি টাকা, যা ২০১৪-১৫ সালে এসে দাঁড়ায় ১ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা।

উল্লিখিত সময়ে কোম্পানির কর-পরবর্তী মুনাফা ২২ কোটি ৭৮ লাখ থেকে বেড়ে ৯২ কোটি ১৯ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। যদিও ২০১০ সালে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ছিল ১০ কোটি টাকা। পরবর্তী পাঁচ বছরে তা ১৬১ কোটি ৬০ লাখ ১৭ হাজার টাকায় উন্নীত হয়। শেয়ারপ্রতি আয় ১ টাকা ৯৬ পয়সা থেকে বেড়ে ২০১৪ সালে ৫ টাকা ৬৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের শেয়ার পেতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিডিং (নিলাম) শুরু হচ্ছে আজ। বুক বিল্ডিং পদ্ধতির নিয়মানুযায়ী, বিডিংয়ে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নির্দেশক মূল্যের ২০ শতাংশ উপরে বা নিচে শেয়ারদর প্রস্তাব করতে পারে।

এক্ষেত্রে বিডিং প্রক্রিয়ায় এ শেয়ারের সর্বনিম্ন দর ৫৬ টাকা ৮০ ও সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা ১০ পয়সায় মধ্যে যেকোনো প্রস্তাব দিতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪০ শতাংশ বা দুই কোটি শেয়ার সংরক্ষিত রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য।

গত ৭ ডিসেম্বর বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বিডিংয়ের অনুমোদন পায় একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। ২০১৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৫ টাকা ৬৫ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ৬৬ টাকা ১৬ পয়সা।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
 টস হেরে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামবে টাইগাররা।
টি-২০ বিশ্বকাপ মিশনে টিকে থাকার লড়াইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

এদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছে ৫৫ রানে আর অস্ট্রেলিয়া ৮ রানে হারে নিউজিল্যান্ডের কাছে।

এই ম্যাচে অবশ্য মাশরাফিদের লড়াইটা অন্য রকম। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দলের অন্যতম সেরা পেসার তাসকিন আহমেদ ও স্পিনার আরাফাত সানিকে পাওয়া যাচ্ছে না। ইনজুরির কারণে খেলতে পারছেন না তামিম ইকবালও। তবে আজকে মাঠে নামছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। তার সঙ্গে নতুন মুখ হিসেবে থাকছেন শুভাগত হোম ও সাকলাইন সজীব।

বাংলাদেশ স্কোয়াড:

মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, আবু হায়দার রনি, আল-আমিন হোসেন, শুভাগত হোম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মুস্তাফিজুর রহমান, নাসির হোসেন, নুরুল হাসান, সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল, সাকলাইন সজীব।

অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড:

স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যাস্টন আগার, নাথান কোল্টার-নাইল, জেমস ফকনার, অ্যারন ফিঞ্চ, জন হ্যাস্টিংস, জস হ্যাজেলউড, উসমান খাজা, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, পিটার নেভিল (উইকেটরক্ষক), অ্যান্ড্রু টাই, শেন ওয়াটসন, অ্যাডাম জাম্পা।

শীর্ষ নিউজ/এন



Plan Your Trades, Then Trade Your Plan

keep-calm-and-focus-on-your-trade-plan

Your job as a trader is to follow a trading plan.
And who’s going to write this trading plan? You are.
Notice the word “write”. It needs to be written down, on your trading desk, in front of you.
Your trading system will give you the rules to follow. All you do is translate these into your plan.
A trading plan must have three parts: Setup, Entry and Exit.
(Obviously it’s beyond the scope of this document to provide details on specific trading systems as there
are literally hundreds of them! However we do feature some occasionally in our newsletter.)
The point is that a trading plan covers every eventuality. You know what to look for in the market,
when to get into a trade, and when to get out.
Keep it simple.
Then follow it. Religiously.



POS & Accounting Software তৈরি করতে চান?

bpa_main_300images

POS & Accounting Software তৈরি করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমাদের মোবাইল নাম্বার: 01733456079. E-Mail করতে পারেন market.news724@gmail.com .

POSscr_2-700x533

Inventory Software তৈরি করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমাদের মোবাইল নাম্বার: 01733456079. E-Mail করতে পারেন market.news724@gmail.com .

মাত্র ৫০০ টাকায় স্মার্টফোন

smartphones_pile

বিলাসিতার গণ্ডি ছাড়িয়ে প্রয়োজনের তালিকায় অনেকদিন আগেই ঢুকে পড়েছে স্মার্টফোন। নেট সার্ফিং থেকে সোশাল মিডিয়া সবই সহজলভ্য স্মার্টফোনের হাত ধরেই। এবার পাশ্ববর্তি দেশের BPL তালিকার অন্তর্ভুক্তদেরও এই প্রয়োজনীয়তার আওতাভুক্ত করতে এগিয়ে এসেছে “রিংগিং বেলস”। সরকারি সহায়তায় প্রায় সাত ডলারেই স্মার্টফোন বাজারে আনছে এই সংস্থাটি। ভারতীয় মুদ্রায় এর দাম পড়বে মাত্র ৫০০ টাকা। সংস্থাটির দাবি, কাল থেকেই বাজারে মিলবে তাদের নয়া স্মার্টফোন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পরির্করের হাত ধরে বাজারে আসার কথা ফোনটির।

আপাতত একটি মডেল “ফ্রিডম 251”-এ পাওয়া যাবে এই স্মার্টফোন। তবে এই হ্যান্ডসেটটির স্পেসিফিকেশন এখনই ফাঁস করতে নারাজ সংস্থার কর্মকর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, উদ্বোধনের দিনই জানানো হবে এর বৈশিষ্ট্যগুলি।

সংস্থাটির আরও দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির “মেক ইন ইন্ডিয়া” অভিযানকে সফল করবে এই প্রকল্প। মূলত তাঁর ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে দেশের প্রতিটি মানুষকে একসূত্রে বাঁধতেই এই প্রকল্পটি আনা হয়েছে।

কম্পিউটার ও ইন্টারনেটকে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজলভ্য করতে এর আগে সরকারি সহায়তায় সস্তায় আকাশ ট্যাবলেট বাজারে আনা হয়েছিল। দাম ছিল মাত্র তিন হাজার টাকা।